হেমন্তের খিড়কি দ্বার খোলা পেয়ে
নির্বিঘেœ ঢুকে যায় পৌষালি হাওয়া
গুচ্ছ গুচ্ছ কাশের আঙিনায় তখন চাঁদনী রাত
অঘোরে ঘুমোয় ঘুঘু। জলের শীতল ঢেউ কেটে
সজনের শাখায় বসা মাছরাঙা পাখিটা
চোরের মত দেখেছে সব। আলো, আঁধার
বেগুণী প্রেম, রক্তের গুঁতোগুতি।
শরতের মেঘ আর বুনো শেয়াল একসময়
কবুতর পুষতো প্রবাল দ্বীপে
টিয়ে পাখিটা তখন নতুন বৌয়ের জামাই।
বুড়ো ডার্লিং গোধুলীর ছেঁড়া শেরওয়ানী
হৃদয়ের ওয়্যারড্রব থেকে বের করে
প্রগতির হাতে সোপর্দ করতে চেয়েও পারে নি
কেননা, কালোজাম জানতো বুনো হাওয়ার দহলিজে
ওর নতুন পায়জামাটা তিন টাকার বিনিময়ে
বন্ধক রেখেছিল প্রতিবেশী বকুলের কাছে।
ঘাসফড়িঙ দেখে ফেলায় তার তীক্ষè চোখ
আর কোন দিন খুঁজে নি আমায়।
তবে সেটি নিছক এবং ভ্রাম্যমাণ গুজব
ঝুলন্ত রাতের জোছনায়
ভিজে প্রেম সমুদ্র হবে না কোন কালে আর।
……………………………………………….